ফুল পরিচিতি (পর্ব ২)

অপরাজিতা :

অপরাজিতা বৈজ্ঞানিক নাম: Clitoria ternatea এটি হচ্ছে ফ্যাবাসিয়াই (Fabaceae ) প্রজাতির একটি ফুল। গাঢ় নীল রঙের ফুল, নিচের দিক এবং ভেতরটা সাদা কখনো বা একটু হলদে আভাস দেখা যায়। এই ফুলের অনেক প্রচলিত নাম রয়েছে। 

* ইংরেজি: Butterfly pea, blue pea vine, mussel-shell climber, pigeon wings
* হিন্দি: Aparajita (अपराजिता)
* বাংলা ভাষায়: অপরাজিতা
* কন্নড়: Nagar hedi
* মালয় ভাষা: বুঙ্গা তেলাংগ Bunga telang
* মালয়ালম ভাষা: ശംഖുപുഷ്പം, সঙ্খপুস্পম
* মারাঠি ভাষা: गोकर्ण, গোকর্না (Gokarna)
* ধিভেয়ি ভাষা: কুলহাধিরিমা (Kulhadhirimaa)
* পর্তুগিজ: Fula criqua
* সংস্কৃতি ভাষা: Sankhapushpi (शंखपुष्पी), aparajita(अपराजिता), saukarnika , ardrakarni,       girikarnika(गिरिकर्णिका), supuspi (सुपुष्पी), mohanasini (मोह्नाशिनी), vishadoshaghni (विषदोषघ्नी), shwetanama (श्वेतनामा)., Vishnukranta (विष्णुक्रांता), ashwakhura (अश्वखुरा)}
* তামিল ভাষা: সাঙ্গু পু (Sangu pu)
* থাই: ดอกอัญขัญ (dok anchan)
__________________________________________________________________ 


  উলটচণ্ডাল :
উলটচণ্ডাল এক প্রকার Gloriosa গণভুক্ত উদ্ভিদ এর ফুল এর বোটানিক্যাল নাম বা বৈজ্ঞানিক নাম Gloriosa superba এটি এক ধরনের লতাগাছ, যা পাতার ডগাস্থিত আকর্ষির সাহায্যে বেয়ে ওঠে ফুলের পাপড়ির গোড়ার দিক হলুদ আর আগার দিক গাঢ় লাল রঙের হয়
__________________________________________________________________ 

  আকন্দ :

 আকন্দ এক প্রকারের গুল্ম জাতীয় গাছ এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Calotropis gigantea, C. procera, গাছটির বিষাক্ত অংশ হলো পাতা গাছের কষ। কষ ভীষণ রেচক, গর্ভপাতক, শিশু হন্তারক, পাতা মানুষ হন্তারক বিষএই গাছ সাধারণত: - মিটার পর্যন্ত উচুঁ হয়ে থাকে। আকন্দ দুই ধরণের হয়  শ্বেত আকন্দ লাল আকন্দ। শ্বেত আকন্দের ফুলের রং সাদা আর লাল আকন্দের ফুলের রং বেগুনি হয়ে থাকে। গাছের পাতা ছিড়লে কিংবা কান্ড ভাঙ্গলে দুধের মত কষ (তরুক্ষীর) বের হয়। ফলসবুজ,অগ্রভাগ দেখতে পাখির ঠোটের মত। বীজ লোম যুক্ত,বীজের বর্ণ ধুসর কিংবা কালচে হয়ে থাকে আকন্দের ওষধি গুনও রয়েছে যেমন- বায়ুনাশক, উদ্দিপক, পাচক, পাকস্থলীর ব্যাথা নিবারক, বিষনাশক, ফোলা নিবারক। প্লীহা, দাদ, শোথ, অর্শ, ক্রিমি শ্বাসকষ্টে উপকারী
__________________________________________________________________ 
অশোক :

 

 





অশোক এর বৈজ্ঞানিক নাম Saraca indica, গাছটির ফলের রঙ লাল অশোক এর আরও একটি প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায় যার ফলের রঙ অশোক (হলুদ অশোক), অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Yellow Ashok, Yellow Saraca এবং বৈজ্ঞানিক নাম Saraca thaipingensis
__________________________________________________________________ 

  কাঞ্চন :

এই ফুলটার বাংলায় নাম কাঞ্চন এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Bauhinia acuminata এটি Caesalpiniaceae (Gulmohar family) পরিবারের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ অন্যান্য নামের মধ্যে Dwarf White orchid tree, Dwarf white bauhinia ,Safed Kachnar ,Chingthrao angouba ,Vellai mandaarai , Sivamalli উল্লেখযোগ্য __________________________________________________________________

  কানারাজ :

কানারাজ একটি ফুলের নাম এর আরেক নাম শ্বেতকাঞ্চন, বৈজ্ঞানিক নাম bauhinia candida এটি Fabaceae পরিবারের একটা উদ্ভিদ এটি বাগান কোন স্থাপত্যের শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ হিসাবে এই উপমহাদেশে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহুকাল ধরে এর আদিনিবাস ধরা হয় দক্ষিণ এশিয়া অন্যান্য নামের মধ্যে White Orchid tree, Mountain-ebony উল্লেখযোগ্য গাছটি ১০-১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে সাধারনতঃ জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এর ফুল ফোটে
__________________________________________________________________ 

 ক্যামেলিয়া :

ক্যামেলিয়া (Camellia japonica) এটি Theaceae পরিবার ভুক্ত একটি উদ্ভিদ অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে camellia, Japanese Camellia উল্লেখযোগ্য  পাতা চকচকে সবুজ, আকর্ষী, গড়ন অনেকটা চা-পাতার মতোই প্রতিটি ফুলেই ৫টি বৃতি অসংখ্য পুংকেশর থাকে গাছ না ছাঁটলে ২০-৩০ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে ক্যামেলিয়া বাঁচে অন্তত এক বছর আগের দিনে ক্যামেলিয়া ফুলকে দীর্ঘায়ু বিশ্বস্ততার প্রতীক মনে করা হতো শীতে ফুল ফোটে তবে বর্ষার বৃস্টি তার প্রিয়, কিন্তু গাছের গোড়ায় বৃষ্টির পানি জমা এরা সহ্য করতে পারে না
আবাদিত ক্যামেলিয়ার মধ্যে 'এলিগানস' হলো বড় টকটকে লাল, তাতে মাঝে মাঝে সাদা ডোরা দাগও থাকে 'গুলিও নুসিও' হলো লাল থেকে পিংক পাপড়ির এবং পুংকেশর হলদে 'মাথোটিনা আলবা' হলো ধ্রুপদী সাদা ফুল 'দ্য সিজার' হলো হালকা ক্রিমসন সেমি-ডাবল পাপড়ির ফুল এরা ক্যামেলিয়া-জগতের রূপসী তারকা তবে সবচেয়ে মূল্যবান বা গৌরবময়ী বলা হয় 'আলবা প্লিনা' ক্যামেলিয়াকে, তার সৌন্দর্যখ্যাতি বিশ্বজুড়ে কমনীয় সৌন্দর্য তার ভূষণ চীন, জাপান, কোরিয়া ছাড়াও সারা বিশ্বে ২০০০ রকমের বেশি আবাদিত হাইব্রিড ফুল হয়
অনেকেই মনে করেন আমাদের দেশে ক্যামেলিয়ার কোনো অস্তিত্ব নেই ধারণাটি পুরোপুরি সত্য নয়  কারণ স্বল্পসংখ্যক ক্যামেলিয়া আছে বলধা গার্ডেনের সিবিলি অংশে আর আছে মৌলভীবাজার জেলার চা বাগানে তবে সব বাগানে নয় নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে শ্রীমঙ্গল এলাকায় 
__________________________________________________________________ 

করবী :

করবী লাল গোলাপী বা সাদা ফুলবিশিষ্ট চিরহরিৎ গুল্ম বৈজ্ঞানিক নাম: Nerium oleander,  ইংরাজী নাম: Oleander, অন্যান্য নাম Adelfa, Alheli Extranjero, Baladre, Espirradeira, Flor de Sao Jose, Laurel de jardin, Laurel rosa, Laurier rose, Flourier rose, Olean, Aiwa, Rosa Francesca, Rosa Laurel, and Rose-bay.
করবী অত্যন্ত রুক্ষ পরিবেশে বাড়তে পারে বলে বহু জায়গায় সাজবার জন্য এটি চাষ করা হয়। কিন্তু গাছটির সর্বঙ্গ তীব্র বিষযুক্ত। একটি মাত্র পাতা খেলেই মানুষের, বিশেষত শিশুর মৃত্যু হতে পারে। পাতা তেতো বলে মানুষের ক্ষেত্রে বিষক্রিয়া কম দেখা যায়, অবশ্য TESS (Toxic Exposure Surveillance System) অনুসারে ২০০২ সালে আমেরিকায় ৮৪৭টি বিষক্রিয়ার ঘটনা লক্ষিত হয়। ঘাসে মেশা শুকনো করবী পাতা বা শাখা খেয়ে গবাদি পশুতে (বিশেষত ঘোড়ার) বিষক্রিয়া/মৃত্যু দেখা যায়- পূর্ণবয়স্ক ঘোড়ার মারাত্মক মাত্রা ১০০g, (. mg/Kg)
__________________________________________________________________ 

কুসুম ফুল :

কুসুম একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ - ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে কমলা- হলুদ রংএর ফুর গুলি প্রায় থেকে ১১/ ইঞ্চি পর্যন্ত হয় কুসুমগাছ দুই ধরনের- একটি বেশ বড় এবং উঁচু, অন্যটি খুবই ছোট ঝোপালো ধরনের। মূলত ছোট গাছ থেকেই রং পাওয়া যায়। এরা পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে আপনা আপনিই জন্মে। এটা অনেক সময় জাফরানের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় পৃথিবী বহুদেশে এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে ঠকানো হয় মসলা হিসাবে এটার কোন মূল্য নাই কিন্তু রং করার ক্ষমতার কারণে অনকে সময় অনেকে ধোকা খায় তবে এর কিছু ঔষধি গুনাবলী রয়েছে। গরম পানিতে এর নির্যাস শরীর থেকে ঘাম নির্গত করে বলে ঠান্ডাজনিত রোগশোকে ব্যবহৃত হয়। শিশু জন্মের পর এর বীজের পাউডার একটা কাপড়ে নিয়ে গরম করে সেঁক দিলে ব্যথা উপশম হয়। এর ফুল আবার জন্ডিসের জন্য উপকারীকাপড়ের রং হিসেবে কুসুম অনেক পুরোনো বিখ্যাত। প্রাচীন মিসরেও এর চাষ হতো।
__________________________________________________________________ 

 চন্দ্রমল্লিকা  :
চন্দ্রমল্লিকা ইংরেজি Chrysanthemum এর বৈজ্ঞানিক নাম Chrysanthemum indicum L. গাছ ৫০ থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। বৃহদাকৃতির ফুলগুলো সচরাচর সাদা, হলুদ অথবা পটল বর্ণের হয় এই ফুলের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয় বিভিন্ন রংয়ের এই ফুলগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমূল্য রয়েছে প্রথম সারিতে অক্টোবরে কুঁড়ি আসে এবং নভেম্বরে ফুল ফোটে৷ গাছে ফুল তাজা থাকে ২০ থেকে ২৫ দিন৷ অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে - চন্দ্রমুখী, chrysanthemum, Gul dawoodi উল্লেখযোগ্য চন্দ্রমল্লিকার বিভিন্ন জাত রয়েছে। বাণিজ্যিকভিত্তিতে যেগুলোর চাষ হয়, সেগুলোকে প্রধানতঃ দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়ছোট বড়৷
  • ছোট প্রজাতি: বাসন্তী (জলদি জাত) – উজ্জ্বল হলুদ, মেঘামী () – হালকা বেগুনী, উনা (নাবিজাত) – হালকা গোলাপী
  • বড় প্রজাতি:  চন্দমা, স্নোবল, সোনার বাংলা, রোজডে, পুইসা পকেট 
__________________________________________________________________ 

 মাধবীলতা :

মাধবীর বোটানিক্যাল নাম Hiptage benghalensis (L.) Kurz., ফ্যামিলি Malpighiaceae এসব নাম মাধবীর ভাব প্রকাশে ব্যবহার হয় এবং কাব্যরসে ভরপুর মাধবী বা মাধবীলতার অনেক নাম- মণ্ডপ, কামী, পুষ্পেন্দ্র, অভীষ্টগন্ধক, অতিমুক্ত, বিমুক্ত, কামুক ভ্রমরোৎসব এক সময় পুণ্ড্রক দেশে অর্থাৎ ময়মনসিংহে মাধবী প্রচুর পাওয়া যেত এর জন্য এর আরেক নাম পুণ্ড্রক মাধবী বৃক্ষারোহী লতা এবং দীর্ঘজীবী ডাল ছোট ছোট এবং ঝোপঝাড় হয়ে যায় এভাবে বহুবর্ষী হলে ধীরে ধীরে মূল লতাটি বেশ মোটা হয়ে যায় এর মোটা মোটা ডালের ছাল মেটে রঙের, ভেতরের কাঠ লালচে শক্ত পাতা বিপরীতমুখী, আয়তকার, বোঁটার দিক থেকে আগা ক্রমশ সরু, সাধারণত থেকে ইঞ্চি লম্বা হয় অনেকটা চাঁপা ফুলের পাতার মতো ফুল গুচ্ছবদ্ধ বিন্যাস সুসংবদ্ধ। মুকুলগুলো সূক্ষ্ম রোমে ভরা। ফুল সাদা রঙের, পাঁচটি পাপড়ি এবং তার মধ্যে পঞ্চম পাপড়িটির গোড়ার দিক হলদেটে। ফুল দেখতে তিল ফুলের মতো এবং খুব সুগন্ধি। বাগানের শোভার জন্য যত্ন করে মাধবী লাগানো হয় মাধবীর বসন্ত গ্রীষ্ম এই ফুলের ঋতু হলেও কখনো কখনো বর্ষা পর্যন্ত ফোটে। এই গাছটি এখন প্রায় দুষ্প্রাপ্য
__________________________________________________________________ 



  জিনিয়া :
 
জিনিয়া (ইংরেজী: Zinnia) মূলত এর বাহারী রংয়ের ফুলের জন্য সুপরিচিত এর বৈজ্ঞানিক নাম Zinnia elegans জিনিয়া ফুল সাদা, লু, লাল, বাদামী, বেগুণী, কমলা, সবুজ হরেক রঙের হয়ে থাকে গাছ ৬০-৭০ সেমি. লম্বা হয়। গাছে ডালের সংখ্যা কম হয়। মূলত: মেক্সিকোর এই ফুল এখন সারা পৃথিবীতে চাষ করা হয় অন্তত ২০ প্রজাতির জিনিয়া যাবৎ চিহ্নিত হয়েছে  জিনিয়া শীত-গ্রীষ্ম দুই ঋতুতেই চাষ করা যায়। তবে শীতের সময় অনেক প্রকার মৌসুমি ফুলের সমারোহ থাকে। কড়া রোদ, আশি থেকে নব্বই ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা জিনিয়া চাষের পক্ষে আদর্শ। এই পরিবেশ ঠিক রাখতে পারলে ফুলের আকার ও গঠন ঠিক থাকে এবং ফুল দীর্ঘস্থায়ী হয়। আকার ও রঙের বৈচিত্রে ডালিয়া ও চন্দ্র মল্লিকার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। জিনিয়ার জনপ্রিয় জাত হচ্ছে ডাবল ফুল। এটি অবিকল চন্দ্র মল্লিকার মত।
__________________________________________________________________ 

টিউলিপ :

টিউলিপ (ইংরেজি: Tulip) এর বৈজ্ঞানিক নাম: Tulipa, বর্ষজীবি কন্দযুক্ত প্রজাতির গাছটি লিলিয়াসিয়ে পরিবারভূক্ত উদ্ভিদ সংকরায়ণসহ টিউলিপের সকল প্রজাতিকেই টিউলিপ নামে ডাকা হয়। টিউলিপ প্রায় ১৫০ প্রজাতিতে বিভাজ্য এবং অগণিত সংকর প্রজাতি রয়েছে  

এটি মুকুল থেকে জন্মায় এবং বিভিন্ন প্রজাতিতে এর উচ্চতা ভিন্নরূপ হয়। সচরাচর ইঞ্চি (১০ সে.মি.) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি (৭১ সে.মি.) পর্যন্ত উচ্চতাসম্পন্ন হয়। অধিকাংশ টিউলিপই ডাঁটা থেকে একটিমাত্র মুকুলের মাধ্যমে বিকশিত হয়। কিন্তু কিছু প্রজাতিতে (যেমন - টিউলিপা তুর্কেস্টানিকা) কয়েকটি ফুল হতে পারে
জমকালো আড়ম্বরপূর্ণ ফুলগুলো সাধারণত কাপ কিংবা তারার আকৃতি হয়ে থাকে। এর তিনটি পুষ্পদল এবং তিনটি বহিঃদল রয়েছে। টিউলিপে খাঁটি নীলাভ রঙ ব্যতীত বিভিন্ন রঙের হয় এর ফল মোড়কে ঢাকা থাকে যা অনেকটা ক্যাপসুল আকৃতির। দুই সারিতে বীজ থাকেহাল্কা থেকে ঘন বাদামী বর্ণের বীজগুলো খুবই পাতলা আবরণবিশিষ্ট। টিউলিপের ডাঁটায় অল্প কিছু পাতা থাকে বৃহৎ প্রজাতিতে অনেকগুলো পাতা থাকতে পারে। সাধারণতঃ দুই থেকে ছয়টি পাতা থাকে। প্রজাতিভেদে পাতার সংখ্যা সর্বোচ্চ ১২টি হতে পারে। পাতাগুলো নীলাভ সবুজ রঙের হয়

এর উৎপত্তি পামির মালভূমি এবং হিন্দুকুশ পর্বতমালার এলাকা থেকে উদ্ভূত হয়ে কাজাখস্তানে স্থানান্তরিত হয় যা পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান, ইউরোপের দক্ষিণাংশ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়ার আনাতোলিয়া থেকে ইরানের পূর্বাংশ, চীনের উত্তর-পূর্বাংশ এবং জাপানে উদ্ভিদ পাওয়া যায়। টিউলিপের সাথে হল্যান্ডের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ষোড়শ শতাব্দী থেকে টিউলিপের চাষ হয়ে আসছে

পারস্যে লাল টিউলিপকে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়। লাল টিউলিপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কালো অংশের মাধ্যমে প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয় ভেঙ্গে খানখান কয়লার ন্যায় পুড়ে যাওয়া এবং হলুদ টিউলিপ বিনিময় করাকে আশাহীন সম্পূর্ণভাবে নিরাশাগ্রস্ত আকারে তুলে ধরা হতো
__________________________________________________________________


  দাঁতরাঙ্গা :

এই ফুলটার বাংলা নাম: দাঁতরাঙ্গা বা লুটকি এর বৈজ্ঞানিক নাম Melastoma malabathricum এটি Melastomataceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। অন্যান্য নামের মধ্যে Malabar Melastome, Indian-rhododendron, Senduduk উল্লেখযোগ্য।
এটির ঔষধি গুনও আছে। এন্টিভমিটিং এবং জোঁক এর কামড় থেকে রক্ত বন্ধ করতে এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
__________________________________________________________________ 

 নীলকন্ঠ :

নীলকন্ঠ (বৈজ্ঞানিক নামঃ Jacaranda mimosifolia) এটি Bignoniaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ এ গাছের জন্ম ব্রাজিলে। অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে  Blue Jacaranda, Black Poui, Neel gulmohur উল্লেখযোগ্য নীলকন্ঠ মাঝারি আকৃতির পত্রমোচী বৃক্ষ। কাণ্ড মসৃণ ও হালকা ধূসর রঙের। পাতা চিরল চিরল, কারুকার্যময় ও বিন্যাস বিপ্রতীপ। গ্রীষ্মের প্রথমভাগেই নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। তার পরপরই প্রায়-পাতাহীন ডালের ডগায় গুচ্ছবদ্ধ ফুল ফুটতে শুরু করে। পরিপূর্ণ প্রস্ফুটিত নীলকন্ঠের জৌলুশ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। তা ছাড়া এ ফুল চটজলদি ঝরেও পড়ে না। অনেক দিন ধরেই এ শোভা উপভোগ করা যায়। ফুলের রং বেগুনি, দেখতে নলাকার, দুই ইঞ্চি লম্বা। এ গাছের কাঠ দামি ও সুগন্ধি। ভেতরের আঁশ বেগুনি ও কালো রেখায় চিত্রিত। ব্রাজিলে এ গাছের পাতা বক্ষরোগ ও ক্ষতচিকিৎসায় ব্যবহূত হয়। বাকলের নির্যাস থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন রোগের ওষুধ।
__________________________________________________________________ 



  নীলাম্বরী :
নীলাম্বরী একটি নীল রঙা মনোরম ফুল নীলাম্বরী গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Delphinium dasycaulon ; পরিবার Ranunculaceae, এর ইংরেজী নাম 'Malabar Delphinium

সুপ্রশস্ত নীলাম্বরী গাছের উচ্চতা ৫০ - ১০০ সেঃ মিঃ এটি বর্ষজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ এর কাণ্ড সোজা, ফাঁপা শাখার শেষ প্রান্ত থেকে উদ্ভূত লতার অগ্রভাগে অক্টোবর মাসে ফুল ধরে পাঁচটি পাঁপড়ি সুবিন্যস্ত পাঁপড়ির ঊর্ধাংশে সাদা ছোপ আছে ফুলটি বিষাক্ত
____________________________________________________________


ফুল পরিচিতি : (পর্ব-১)   (পর্ব-২)   (পর্ব-৩)

৫টি মন্তব্য: