কৃষ্ণচূড়া :

·
দক্ষিণ ফ্লোরিডা -
|
জুন
|
·
ক্যারাবিয়ান -
|
মে থেকে সেপ্টেম্বর
|
·
ভারত -
|
এপ্রিল থেকে জুন
|
·
অস্ট্রেলিয়া -
|
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি
|
·
আরব আমিরাত -
|
সেপ্টেম্বর
|
রাধাচূড়া :
কৃষ্ণচুড়ার মত দেখতে হলেও হলুদ-লাল মিশ্রণের এই ফুলটির নাম রাধাচূড়া। রাধাচূড়ার আরও অনেক নামের মাঝে অরণ্য, রত্নগণ্ডি, সিদ্ধেশ্বর, গুলেটুর নাম গুলো বেশি শোনা যায়। Peacock Flower বা Red Bird of
Paradise নামে পরিচিত এই ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম Caesalpinia pulcherrima এই ফুলের আদি নিবাস দ্বীপদেশ মাদাগাস্কার। ফুল কখনো হলুদ কখনো লাল কখনোবা লাল হলুদের মিশ্রণ। এই গণের মোট প্রজাতি ১৫০ টি হলেও ভারত উপমহাদেশের ১০ টির বেশি প্রজাতি দেখা যায় না। গুল্মজাতিয় এই গাছটির ফুল শুধু শোভাবর্ধন করে না গাছটির পাতা, ফুল, ছাল, মূল সব অংশেই ঔষধিগুণ বিদ্যমান। তবে গর্ভাবস্থায় কোন রোগেই এই গাছের কোন অংশই ব্যাবহার করা উচিৎ নয়।
__________________________________________________________________
__________________________________________________________________
কনকচূড়া :
কনকচূড়া বৈজ্ঞানিক নাম- Peltophorum
pterocarpum এবং Fabaceae পরিবারের সদস্য। কনকচূড়া/পেল্টোফরাম শ্রীলঙ্কা, আন্দামান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়াইয় এন্ডেমিক প্রজাতি। প্রায় ২০ মিটার উচু,
শাখায়িত, পত্রমোচী বড় গাছ। বাকল ধূসর। যৌগপত্র দ্বি-পক্ষল, ৩০-৫০*২০-৩০
সেমি,
পক্ষ ৮-২৬
টি,
পত্রিকা ক্ষুদে,
১*২ সেমি, উপর উজ্জল সবুজ,
নিচ সাদাটে।গরমের শুরুতে গাছের কচি পাতার সাথে ফুল ফোটে।
__________________________________________________________________
পলাশ :

__________________________________________________________________
চাঁপা :
চাঁপা বা চম্পা বৈজ্ঞানিক নাম Michelia champaca Linn এই ফুলটির নাম এসেছে সংস্কৃত ‘চম্পক’ থেকে। চাঁপা ফুলের গাছ চিরসবুজ। মানে গাছে সারা বছরই পাতা থাকে। পাতাগুলো লম্বাটে। আর ফুলের রঙ সাধারণত সাদা, হালকা হলুদ কিংবা সোনালি হতে পারে। বসন্ত থেকে বর্ষাকাল পর্যন্ত চাঁপা ফুল ফোটার সময়। বসন্তকালেই সবচেয়ে বেশি ফোটে। তবে এক শীতকাল ছাড়া প্রায় সব সময়েই চাঁপা ফুল ফুটতে দেখা যায়। চাঁপা ফুল নানা জাতের হয়। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্বর্ণচাঁপা আর হিমচাঁপা। স্বর্ণচাঁপা ফুলটির জন্মভূমি হিমালয়ের পাদদেশ। রং সোনালি হলুদ। আর হিমচাঁপার রং সাদা। আদিবাস উত্তর আমেরিকা। তবে বাংলাদেশের সমতলভূমিতে ফুলটি ভালোই জন্মায়। হিমচাঁপা গাছ ৩০ থেকে ৪০ ফুট উচু হয়। পাতা গাঢ় সবুজ, মোটা আর চওড়া। পাতার নিচে বাদামি রঙের প্রলেপ থাকে। সব চাঁপা ফুলেই মিষ্টি একটা গন্ধ থাকে।
__________________________________________________________________
__________________________________________________________________
কনকচাঁপা :
কনকচাঁপা এর বৈজ্ঞানিক নাম Ochna squarrosa, এই ফুলের গাছটি ছোট বৃক্ষ জাতীয় গাছ। ফুলের মঞ্জরি ছোট ছোট, কিন্তু অনেকগুলো একসঙ্গে থাকে। পাতা যখন কচি থাকে, তখন রং থাকে তামাটে। কিন্তু পরিণত বয়সে পাতাগুলো গাঢ় সবুজ রঙের হয়ে যায়। তবে চাঁপা ফুল গাছের মতো সারা বছর গাছে পাতা থাকে না; শীতের শেষে পাতা ঝরে যায়। আর বসন্তে ফুলটির ঘন হলুদ সোনালি রঙের পাপড়ি আর তামা রঙের কচি পাতায় গাছের ডালপালা ছেয়ে যায়। আর ফুলটিতে মধুও থাকে। আর সেই মধুর লোভে জড়ো হয় রাজ্যের সব মৌমাছি আর ভ্রমর।
__________________________________________________________________
__________________________________________________________________
দোলনচাঁপা :
দোলনচাঁপা
আমাদের দেশের খুবই পরিচিত একটি ফুল।এর বৈজ্ঞানিক নাম Hedyehium
coronarium, ফুলটির আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে ভারত। প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৪০টি।গাছের ডালের মাথায় থোকায় থোকায় সাদা রঙের বড় বড় দোলনচাঁপা ফোটে। সব দোলনচাঁপাই সাদা হয় না; হলদে
কি লাল রঙেরও হয়। এই ফুল ফোটে বর্ষার বিকেলে ও সন্ধ্যায়। সারা রাত জুড়ে মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে সকাল হতে হতেই শুকিয়ে যায়। আর এই ফুলের সুবাসও পাওয়া যায় অনেক দূর থেকেই। শীতকালে দোলনচাঁপা গাছ শুকিয়ে যায় আবার গ্রীষ্মকালে তরতাজা হয়ে ফুল ফোটানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে।
__________________________________________________________________
__________________________________________________________________
__________________________________________________________________
নয়নতারা :

__________________________________________________________________
নাগেশ্বর বা নাগকেশর :
নাগেশ্বর বা নাগকেশর Messua ferrea ফুলের রঙ সাদা। গোলাকার মুকুলের রঙ সবুজে-সাদা। ফুলের পাঁপড়ির রঙ আবার দুধ-সাদা।
নাগেশ্বর ফুলে বেশ সুগন্ধি হয়। বসন্তকালে যখন নাগেশ্বর ফুল ফুটতে শুরু করে, তখন ভ্রমরেরা নাগেশ্বরের গন্ধে পাগল হয়ে ওঠে। এই ফুল থেকে যেমন সুগন্ধি আতর তৈরি হয়, তেমনি নানা রোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়। যেমন বমি- কাশি, তারপর আমাশয় হলে শুকনো নাগেশ্বর ফুল বেশ কাজে দেয়। নাগেশ্বর ফুলের গাছ বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে সিলেটে বেশ চোখে পড়ে।
__________________________________________________________________
বেলি এক প্রকারের সুগন্ধী সাদা ফুল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Jasminum sambac । বেলী
ফুলের গাছ বেশ ছোট; ঝোপের মতো এক ধরনের গুল্ম জাতীয় গাছ। উজ্জল সবুজ পাতার মাঝে সাদা রঙের থোকায় থোকায় ফুটে থাকা বেলী ফুল দেখতে খুবই সুন্দর আর এই ফুলের গন্ধও দারুণ! বেলী
ফুল মূলত ফাল্গুন থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত ফোটে। তবে বর্ষাকালেও এই ফুল ফুটতে দেখা যায়। এই ফুল রাতে ফুটতে শুরু করে, সকালে পুরোপুরি পাঁপড়ি মেলে আর দুপুরের মধ্যেই ঝরে যায়। আমাদের দেশে মূলত ৪ জাতের বেলী ফুল দেখা যায়- রাই বেলী, খয়ে বেলী, মতিয়া বেলী এবং ভরিয়া বেলী। এদের মধ্যে মালা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় মূলত খয়ে বেলী। আর ভরিয়া বেলী নামের যে প্রজাতি সেই প্রজাতির আরো একটা নাম আছে- রাজা বেলী।
মহুয়া :
মহুয়া বৈজ্ঞানিক নাম: Madhuca
longifolia অথবা "Madhuka indica" । মহুয়া মধ্যভারতের আদি বাসিন্দা। এটি মধ্যম থেকে বৃহৎ আকারের একটি বৃক্ষ। পাতা ডিম্বাকার, বৃন্ত ছোট। ফুলগুলো রসাল এবং স্বাদ অম্লমধুর। ফুলের নির্যাসে মাদকতা আছে। এর ধূসর রঙের ছাল প্রায় আধা ইঞ্চি পুরু। মহুয়া শুকনো অঞ্চলের
ফুল
আর
আমাদের দেশের আবহাওয়া
আর্দ্র, মানে বাতাসে জলীয় বাষ্প
বেশি, বৃষ্টিও
বেশি
হয়। তাই আমাদের
দেশে
মহুয়া
ফুল
তেমনি
করে আসর জমাতে
পারেনি। তারপরও দেশের
উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ
করে
রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলায় মহুয়া
ফুল
দেখা
যায়। বসন্তের শেষে সুপারির মতো আকারের ফল হয়। জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্য এর পরিপক্ব হয়। স্থানভেদে একে মহুলা, মধুকা, মোহা, মোভা, মহুভা ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ভেষজ গুণে মহুয়া অত্যন্ত সমৃদ্ধ। মহুয়ার পাতা, বাকল, ফুলের নির্যাস ও তেলের বীজ নানা রোগের চিকিত্সায় বহুকাল থেকে ব্যবহূত হয়ে আসছে। মৌসুমি সর্দি কাশি, অগ্নিমান্দ্য, আন্ত্রিক রোগ, অর্শ, বাত-ব্যথা, মাথার ব্যথা—এসবের নিরাময়। তা ছাড়া পুরোনো ক্ষত ও কীট দংশনেও বিষ-ব্যথানাশক। সাঁওতালেরা মশার যন্ত্রণা, কীটপতঙ্গের দংশনের ক্ষেত্রে মহুয়া বীজের তেল ব্যবহার করে থাকে।
__________________________________________________________________
দুপুরমনি একটি অনিন্দ্য সুন্দর অরুণ রঙের ফুলের বাংলা নাম। এছাড়াও প্রচলিত বন্ধুক, কটলতা বন্ধুলী, দুপুরচণ্ডি বহুনামেই পরিচিত । তার মধ্যে Midday Flower,
Scarlet Mallow, Copper Cups, Florimpia, Noon Flower, Scarlet Pentapetes,
Scarlet phoenician নামগুলি উল্লেখযোগ্য। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Pentapetes
phoenicea এবংএটি Sterculiaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। একহারা লম্বা গাছ, কোমর সমান উঁচু, ডালপালা কম, কিনার কাটাকাটা, আগা সরু। পাতাগুলি
৬ থেকে ১০ সেমি হয়। ফুল ২ সেন্টিমিটার চওড়া. পাঁচটি চ্যাপ্টা পাপড়ি, সিঁদুরে লাল, কখনো হালকা গোলাপী বা সাদা। কোন গন্ধ নেই। পাপড়ির সঙ্গে চিকন ফিতার মতো লকলকে কয়েকটি উপাঙ্গ ফুলের শোভা বাড়ায়। এর কান্ড একটি অর্ধকাষ্ঠল ০.৫ থেকে ১ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। শাখাগুলি হয় লম্বা এবং ছড়ানো। ফুলগুলি দুপুরে ফোটে এবং পড়ে ঝরে যায়। ৫ প্রকোষ্ট বিশিষ্ট গোলাকৃতি ফল হয়, প্রতিটি প্রকোষ্ঠে ৮- ১২ টি করে বীজ থাকে। বর্ষায় এ ফুল ফোটে।
সন্ধ্যামালতী :
মালতী একপ্রকার উদ্ভিদ যা তার ফুলের জন্য আদৃত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Aganosma dichotoma এটি Apocynaceae (Oleander family) পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এই ফুলের অন্যান্য নামের মধ্যে Malati, Clove
scented echites, Malati Paalamalle, Mogari, Gondhomaloti, Maalatilata ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে রয়েছে Echites caryophyllata। ভারতবর্ষের অনেক জায়গায় এটি পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে এর ব্যবহার আছে। এর আয়ুর্বেদিক নাম হচ্ছে মধুমালতি। এটিকে অনেকেই মধুমঞ্জরীর (Quisqualis
indica) সাথে গুলিয়ে ফেলেন কিন্তু বস্তুত দুটি আলাদা আলাদা ফুল। মালতীলতার রং হয় সাদা এবং মধুমঞ্জরীর রং হয় সাদা, লাল বা গোলাপী। এই ফুলগুলো গুচ্ছ গুচ্ছ হয়ে ফুটে থাকে। পাঁচ পাপড়িবিশিষ্ট
ফুলগুলো দেখতে যথেষ্ট মনোহর।
_____________________________________________
__________________________________________________________________
বেলী ফুল:

__________________________________________________________________
মহুয়া :

দুপুরমনি :

__________________________________________________________________

সন্ধ্যামালতী এমন এক ধরণের ফুল যা সাধারণত বসতবাড়ি সাজানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। সন্ধ্যামালতী বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। সম্ভবত এই ফুল পেরু হতে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সন্ধ্যামালতীর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল এতে একটি গাছেই বিভিন্ন রঙের ফুল ফুটতে পারে। শুধু তাই না, মাঝেমাঝে একই ফুলে বিভিন্ন রঙ দেখা যায়। সন্ধ্যামালতী ফুল সাধারণত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে রঙের কাজে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এর পাতাও খাওয়া যায়, অবশ্য তা কেবল জরুরী প্রয়োজনে রান্না করেই তা সম্ভব। এছাড়া কেক ও জেলী রঙের কাজেও এর রঙ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ তৈরীতে এর ফুল ও শিকড় ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এর পাতার রসও ক্ষত সারানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
__________________________________________________________________
মালতী :