ফোবিয়া বা অস্বাভাবিক ভীতিকে বর্ণনা করা হয়
একটি স্থায়ী/দীর্ঘস্থায়ী ভয় হিসেবে যা কোনো বস্তু অথবা স্থান হতে পারে। যার ফলে
ভুক্তভোগী বহুক্ষণ ধরে বাস্তবে রূপ নেবে ধারণা করে এর থেকে দূরে থাকে বা মানসিক
চাপে থাকে এবং চিন্তার কথা কোনো কোনো সময় তা মারাত্মকও হয়। ভয় মনের অবচেতন
স্তরের একটি বিশেষ মানসিক অবস্থা, যার নির্দিষ্টতা আছে
কিন্তু ভয় যখন নির্দিষ্টা অতিক্রম করে একে ভয়রোগ/ ভীতিরোগ/ ফোবিয়া বলে। আমাদের অতি পরিচিত
ভয়গুলো হচ্ছে অন্ধকারে থাকার ভয়, নির্দিষ্ট প্রাণীর ভয়, (তেলাপোকা, সাপ, কেঁচো, জোঁক ) অতিপ্রাকৃত বা অলৌকিক
ব্যাপারে ভয়, কোনো নির্দিষ্ট স্থানের ভয় ইত্যাদি।
মনস্তাত্ত্বিক ফোবিয়া
অনেকক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা ফোবিয়া
কথাটি এড়িয়ে আরো বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন যেমন: ব্যক্তিত্ব ডিসঅর্ডার, এঙ্গযাইটি ডিসঅর্ডার
ইত্যাদি।
☛ এবলুটোফোবিয়া (Ablutophobia)
– স্নান, ধোয়া-মোছা অথবা পরিষ্কার করার ভয়।
☛ এক্রোফোবিয়া (Acrophobia),
এলটোফোবিয়া (Altophobia) – উচ্চতা ভীতি।
☛ এগোরাফোবিয়া (Agoraphobia),
(প্যানিক
ডিসঅর্ডার ছাড়া) – কোন স্থান বা ঘটনার ভয় যেখানে পালানো বা সাহায্য অসম্ভব। এই ফোবিয়া হলে পরে মানুষ কোনো খোলা জায়গায় গিয়ে থাকতেই পারে না। খোলা জায়গায় গেলেই ভয়ে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে যায়।
☛ আগ্রাফোবিয়া (Agraphobia)
– যৌন নিপীড়নের
ভয়।
☛ আইচমোফোবিয়া (Aichmophobia)
– তীক্ষ্ন বা
ধারালো বস্তুর ভয়।
☛ এলগোফোবিয়া (Algophobia)
– ব্যাথ্যার
ভয়।
☛ এজিরোফোবিয়া (Agyrophobia)
– রাস্তা
পারাপারের ভয়।
☛ এন্ড্রোফোবিয়া (Androphobia)
– মানুষের ভয়।
☛ এনথ্রোপোফোবিয়া (Anthropophobia)
– মানুষের বা
মানুষের সঙ্গী হওয়ার বা এজাতীয় ভয়(একধরনের সামাজিক ব্যাধি) ।
☛ এনথোফোবিয়া (Anthophobia)
– ফুলের ভয়।
☛ একুয়াফোবিয়া (Aquaphobia)
– জল বা জল
জাতীয় পদার্থ, ক্যামিক্যাল ইত্যাদির ভয়।
☛ এরেখনোফোবিয়া (Arachnophobia)
– মাকড়শার ভয়।
☛ এসট্রফোবিয়া (Astraphobia)-
বিদ্যুত চমক বা বাজ পড়ার ভয়।
☛ এটিচিফোবিয়া (Atychiphobia)
– অকৃতকার্য
হওয়ার ভয়।
☛ অটোফোবিয়া (Autophobia)
– এককীত্বের
ভয়।
☛ এভিয়োফোবিয়া/ এভিএটোফোবিয়া (Aviophobia/Aviatophobia) – উড়ার ভয়।
☛ ব্যাকটেরিয়াফোবিয়া/ মাইক্রোফোবিয়া (Bacillophobia, Bacteriophobia, Microbiophobia) – অনুজীব এবং ব্যকটেরিয়ার ভয়।
☛ সিবোফোবিয়া, সিটোফোবিয়া (Cibophobia,
Sitophobia) – খাবারের প্রতি
বিরক্তি বা ভয়।
☛ ক্লাসট্রোফোবিয়া (Claustrophobia)
– বদ্ধ জায়গার
ভয় যেখানে পালানো বা আবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
☛ কোলরোফোবিয়া (Coulrophobia) – ভাড়েঁর ভয়। এরা সার্কাসের জোকার দেখলেও ভয় পায় ।
☛ ডেসিডোফোবিয়া (Decidophobia)
– সিদ্ধান্ত
নেয়ার ভয়।
☛ ডেন্টালফোবিয়া (Dental
phobia, Dentophobia, Odontophobia) – ডেন্টিস্ট বা দাঁত সম্মন্ধীয় ব্যাপারে ভয়।
☛ ডিসপোসোফোবিয়া (Disposophobia)
– কোন কিছু
হারানো বা মুক্ত হওয়ার ভয়।
☛ ডিসফোফোবিয়া (Dysmorphophobia)
– সত্যিকার অথবা
কল্পিত দেহ সমস্যার ভয়।
☛ ফ্যাসমোফোবিয়া (Phasmophobia) : ভুত! ভুত! ভুত! এই ভুতকে ভয় পাওয়াই হচ্ছে ফ্যাসমো ফোবিয়া।
☛ ইমেটোফোবিয়া (Emetophobia)
– বমি করার ভয়।
☛ ইরগোফোবিয়া (Ergasiophobia,
Ergophobia) – কাজের ভয়
যেমন সার্জনের সার্জারির অপারেশনের ভয়।
☛ ইরোটোফোবিয়া Erotophobia
– যৌন বা
ভালবাসা সম্মন্ধীয় প্রশ্নের ভয়।
☛ ইরিথ্রোফোবিয়া Erythrophobia
– pathological blushing.
☛ Friggatriskaidekaphobia - fear of Friday the 13th.
☛ গেলোটোফোবিয়া Gelotophobi
– কৌতুক করা বা
হাসাহাসি করার ভয় (নিজেকে নিয়ে)
☛ টেলিফোন ফোবিয়া Telephone phobia – ফোন ধরা বা কথা বলার ভয়।
☛ টেটরাটোফোবিয়অ Tetraphobia – ৪ নম্বর সংখ্যার ভয়।
☛ থানাটোফোবিয়া Thanatophobia – মারা যাওয়ার ভয়।
☛ টোকোফোবিয়া Tokophobia – সন্তান জন্মদানের ভয়।
☛ ট্রামাটোফোবিয়া Traumatophobia – আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ভয়।
☛ ট্রিসকএইডিকাফোবিয়া Triskaidekaphobia, Terdekaphobia – ১৩ নম্বর সংখ্যার ভয়।
☛ ট্রিপানোফোবিয়া Trypanophobia,
Belonephobia, Enetophobia – সূচ বা ইনজেকশনের ভয়।
☛ ওর্য়াকপ্লেসফোবিয়া Workplace phobia – কর্মক্ষেত্রের ভয়।
☛ জেনোফোবিয়া Xenophobia – বিদেশি, অচেনা কিছু বা লোকের ভয়।
☛ গ্লসোফোবিয়া (Glossophobia) : এই ফোবিয়া হলে মানুষের সামনে কথা বলতে গেলেই ভয় লাগে।
☛ নসোফোবিয়া (Nosophobia) : এই বুঝি আমার কোনো অসুখ করলো, এই ভয়েই অসুখ হয়ে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন